লীপ আক্রস : পিএফএস৪ উইকএন্ড ৪

 

আমাদের শেষ সপ্তাহে সিজন ৪ এর লীপ আক্রস  প্রোগ্রামে নাচ ও মিউজিকের কালচার, বর্ডার, জেনার ও ধরণ নিয়ে কাজ করা হবে।  

একদিকে যেমন ডেনমার্কের ডন নু তাদের ওয়াক-ম্যান উপস্থাপনায় চার জন পারফর্মার দর্শককে এক চমৎকার জার্নি তে নিয়ে যায় তেমন অন্যদিকে মল্লিকা সারাভাইয়ের পাস্ট ফরোয়ার্ড নামক উপস্থাপনায়, একজন মহিলা ইতিহাস, রাজনীতি ও মহিলাদের নিজেদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আমাদের পুরোনো সময়ে নিয়ে যায়।

অনুষ্ঠান শেষ হয় জি ডি বিড়লা সভাঘরে সংস্কৃতি সাগরের সাথে একত্রে সম্পূর্ণ সিজনের নিয়ে একটি আলোচনা সভার মাধ্যমে।

শুক্রবার , ১৫ মার্চ ২০২৪
সকাল ১০টা থেকে ১১টা 
ডন নু-এর উপস্থাপনা ‘ওয়াক-ম্যান’ (স্কুল শো)
সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা 
ডন নু-এর উপস্থাপনা ‘ওয়াক-ম্যান’ (সর্বসাধারণের জন্য)

শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪ 
সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা 
মল্লিকা সারাভাইয়ের উপস্থাপনা ‘পাস্ট ফরোয়ার্ড’

পারফরম্যান্স

১৫ মার্চ ‘২৪ | ওয়াক-ম্যান

ডেনমার্কের কনটেম্পোরারি ফিজিক্যাল থিয়েটার
জি ডি বিড়লা সভাঘর 
সন্ধ্যা ৭টা 
টিকিট মূল্য : ১০০০ টাকা, ৭০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ৩০০ টাকা

এই উপস্থাপনা দেখার পর আপনার রাস্তায় চলাচলের অভিজ্ঞতা আর আগের মতো থাকবে না! প্রতিদিনের ক্লান্তিকর জীবনযাত্রার মধ্যেও শরীর আর কলাকৌশলের মাধ্যমে জীবনের আনন্দ আর ছন্দকে খুঁজে বের করে ডন নু। 

এই নাটকে এক দিন, চারটে সাধারণ লোক শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। চলতে চলতে তারা মানুষের সামাজিকতা আর ভালো ব্যবহারের যে চিরাচরিত নিয়মগুলি আছে তা পর্যবেক্ষণ করে এবং নোট করে নেয়। হঠাৎই একজন এই সব কিছুর বিরোধিতা করে বসে। 

ডন নুয়ের কাজের ট্রেডমার্কই হল নিত্যদিনের কাজকর্ম আর সাধারণ শারীরিক বোধ। ওয়াক-ম্যান এরকমই একটা পারফরম্যান্স। নিয়ম-কানুন বলতে আমরা যা বুঝি সেগুলো দুনিয়ায় না থাকলে, পথচারীরা শুধু একজন সাধারণ মানুষই থাকে না এবং ভালো ব্যবহার বলতে আমরা যা বুঝি সেই ধারণাও পাল্টে যায়।   

সাধারণ জীবনের কিছু অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে  তৈরি তিনটি অংশ বিশেষ একটি সম্পূর্ণ নির্মাণের প্রথম

★★★★★ Aarhus Stiftstidende:
“Fiery and enchanting pedestrian dance!”

★★★★★★ Scenekanten:
“…an impressively beautiful piece of philosophical art”

★★★★★★ XQ28:
“..for taking something so trivial, in this case our way of acting as pedestrians, and turn it into 1 hour and 10 minutes of well-choreographed entertainment”

★★★★★ Kulturnyt: “..a firework of fun and seriousness” 

ওয়াক-ম্যান ও পাস্ট ফরোয়ার্ড, উভয় উপস্থাপনা দেখুন সিজন পাসে যেখানে পাবেন বিশেষ ছাড়!
দুটি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেই ব্লক বুকিংয়েও  ১০% ছাড় দেওয়া হবে।
যোগাযোগ করুন ৯৮৩০০১৫৫১০-এ

স্থান
জি. ডি. বিড়লা সভাঘর
২৯, আশুতোষ চৌধুরী এভিনিউ, বালিগঞ্জ, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল – ৭০০০১৯ 

১৬ মার্চ, ২০২৪ | পাস্ট ফরোয়ার্ড

মল্লিকা সারাভাইয়ের  সমকালীন উপস্থাপনা
জি ডি বিড়লা সভাঘর
সন্ধ্যা ৭টা 
টিকিট মূল্য : ১০০০ টাকা, ৭০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ৩০০ টাকা

সম্ভবতঃ, ভারতবর্ষের সবথেকে প্রাচীন নৃত্যশৈলী। চিদম্বরামে দশম শতকের মন্দিরগুলির স্থাপত্য এর প্রমাণ পাওয়া গেলেও সময়ের সাথে সাথে এই নৃত্যশৈলীর পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন নৃত্যশৈলী যেমন ওড়িশি ও কুচিপুড়ি নৃত্যশৈলীর উৎপত্তি ঘটেছে।  

মল্লিকা সারাভাই তাঁর চার দশকের কাজ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশানের অভিজ্ঞাতা থেকে তৈরি এই কনটেম্পোরারি পারফরম্যান্সের মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেন শত শত বছর ধরে মহিলারা কীভাবে মহিলারা এই নৃত্যশৈলীকে উপস্থাপনা করেছেন এবং সময়ের সাথে কীভাবে তা পরিবর্তিত হয়েছে।  

দ্বাদশ শতকের বিভিন্ন সাহিত্য রচনার সাথে মল্লিকা দেখান কীভাবে কাব্য রচনায় তার পরিবর্তন হয়েছে , মহিলাদের অবস্থান, জেন্ডার ও জাতিগত রাজনীতির পরিবর্তন ঘটেছে এবং অবশেষে গত বছরে তৈরি একটি পারফরম্যান্স উপস্থাপনার মাধ্যমে সমগ্র পারফরম্যান্সটি শেষ করেন।

“The performance was magic. What an appropriate travelogue of Bharatnatyam and of feminist interpretations. It stirred our hearts. The audience was mesmerised. At times they cried and had goose flashes…what a tribute”
Abha Bhaiya
Director, Swara Mountain Festival

“Past Forward once again showcases Mallika Sarabhai’s unique understanding of how the classical structure of Bharatanatyam can accommodate modern themes, stories and even rhythms. Her presentation was attended by a young audience that was mesmerised by her use of poetry, contemporary music and even rap in the performance. Truly a must-watch!”
Malavika Banerjee
Director, Kolkata Literary Meet

ওয়াক-ম্যান ও পাস্ট ফরোয়ার্ড, উভয় উপস্থাপনা দেখুন সিজন পাসে যেখানে পাবেন বিশেষ ছাড়!
দুটি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেই ব্লক বুকিংয়েও  ১০% ছাড় দেওয়া হবে।
যোগাযোগ করুন ৯৮৩০০১৫৫১০-এ

স্থান
জি. ডি. বিড়লা সভাঘর
২৯, আশুতোষ চৌধুরী এভিনিউ, বালিগঞ্জ, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল – ৭০০০১৯ 

ওয়ার্কশপ

১৩ মার্চ ‘২৪ |প্রাকটিশনারদের জন্য  ডন নুয়ের ওয়ার্কশপ

পদাতিক 
সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা 
রেজিস্ট্রেশন ফি: ১০০০ টাকা

এই ওয়ার্কশপে মূলতঃ অন্য কারও শরীরের মুভমেন্টের সাথে কীভাবে নিজের মুভমেন্টের সংযোগ স্থাপন করা যায় তাতে ফোকাস করা হবে।  

কন্টাক্ট-ইম্প্রোভাইজেশন, মার্শাল আর্টস ও নাচের বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে স্পর্শ, অন্যের ভার বহন করা বা তুলে ধরা, শরীরকে দক্ষতার সাথে চালনা করা ও অন্যের শরীরের সাথে কাজ করার সময় কীভাবে নিজের শরীরের স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া যায় তার ওপর কাজ করা হবে।  এগুলো টেকনিক্যাল ও বিভিন্ন টাস্ক এর অনুশীলনের মাধ্যমে করা হবে ও নতুন কম্পোজিশান তৈরি করে কীভাবে আরও ফ্রি-মুভমেন্ট তৈরি করা যায় তাতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

স্থান
পদাতিক 
৬, ৭এ, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড, মল্লিক বাজার, এলগিন, কলকাতা
ওয়েস্ট বেঙ্গল – ৭০০০১৭
 

অন্যান্য অনুষ্ঠান

১৩ মার্চ ’২৪ | আর্টিস্ট ডায়রিজ ১.৩। ডন নু

গ্লেনবার্ন পেন্টহাউস
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা অবধি 
রেজিস্ট্রেশন ফি: ১০০০ টাকা

আর্টিস্ট ডায়রিজে ডন নুয়ের নতুন নির্মাণ ওয়াক-ম্যানের প্রিভিউ উপভোগ করা ও শিল্পীদের সাথে আলাপ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের এই কাজটি নিত্যদিন রাস্তায় চলাচলের নিয়ম ও অভিজ্ঞতাকে শরীর, কবিতা ও কমেডির মাধ্যমে সাজিয়ে বিভিন্ন স্টান্ট বা কৌশলের সাথে এক বিস্ময়কর অদ্ভুত পারফরম্যান্সে পরিণত করে। অনুষ্ঠানটি কিউরেট করেছেন বিক্রম আয়েঙ্গার। অনুষ্ঠানের শেষে গ্লেনবার্ন পেন্টহাউসের বিশেষ মেনু সহ ফ্রেটেলির একটি কিউরেটেড ওয়াইন এবং চীজের সহযোগে সুন্দর সন্ধ্যার সমাপ্তি।

স্থান
গ্লেনবার্ন পেন্টহাউসে
কানাক টাওয়ার্স , ৭এ , রাসেল স্ট্রিট, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল – ৭০০০৭১

১৪ মার্চ ’২৪ | রুম টু মুভ

মল্লিকা সারাভাই, সুমনা চক্রবর্তী ও মেডলিন সেন্ট জনের সাথে আলোচনা সভা 

ট্রাই টেরেস

সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮:১৫ অবধি 

 

যদি কোনো স্থানের আকৃতি নির্দিষ্ট ফর্ম এবং সময়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে যেকোনো শারীরিক উপস্থিতি সেই স্থান কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অভিনয়শিল্পী, কোরিওগ্রাফার, লেখক, প্রকাশক এবং সমাজকর্মী হিসাবে তাঁর কাজের ক্ষেত্রে, মল্লিকা সারাভাই আন্দোলন এবং পরিবেশেরই মধ্যে এই সম্পর্কটি পরীক্ষা করেছেন – প্রায়শই তিনি ক্লাসিক্যাল এবং সমসাময়িকতাকে একত্রিত করে নতুন ফর্ম তৈরি করেন যা সময়ের দ্বারা স্থানকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করে এবং সমষ্টির জন্য বর্তমানের সম্মিলিত সহাবস্থান নতুন সম্ভাবনার পরামর্শ দেয়।

 

এরকম একটি অংশ হল পাস্ট ফরওয়ার্ড, একটি সমসাময়িক ভরতনাট্যম পারফরম্যান্স যা পিকল ফ্যাক্টরির লিপ: সিজন 4 এর সমাপ্তি হিসাবে পরিবেশন করে। পিকল ফ্যাক্টরির এই মূল কোরিওগ্রাফির সপ্তাহান্তে উপস্থাপনার অগ্রদূত হিসেবে, মল্লিকা সারাভাই সুমনা চক্রবর্তী, হামদাস্তির প্রতিষ্ঠাতা এবং TRI-এর ডিরেক্টর এবং ডান্স মুভমেন্ট থেরাপি + এক্সপ্রেসিভ আর্টস প্র্যাকটিশনার ম্যাডেলিন সেন্ট জন-এর সাথে বসেন, আলোচনা করার জন্য আমরা কি শিখতে পারি। নারী শরীর এবং নারীত্বের বৈশিষ্ট্য কোরিওগ্রাফিং সম্পর্কে স্থান এবং সময়ের মধ্যে পরিবর্তন করে একটি আরও ভারসাম্যপূর্ণ শারীরিক রাজনৈতিক বিকাশ।

 
স্থান
ট্রাই আর্ট ও কালচার

৫৩/২/২, হাজরা রোড, বালিগঞ্জ, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল – ৭০০০১৯

১৩ মার্চ ’২৪ | স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ডন নুয়ের ওয়ার্কশপ 

এই ওয়ার্কশপে ফোকাস করা হবে কীভাবে শারীরিক ও পরিস্থিতি বিশেষে থিয়েটার তৈরি করা যায়। এই ওয়ার্কশপের বিষয়বস্তু থাকবে সহকর্মীর সাথে বিভিন্ন টাস্কের মাধ্যমে থিয়েটার তৈরি করা যায় তার ওপরে।  

ডন না বিশেষ ভাবে যেভাবে কাজ করে তা হলো নিত্যনৈমিত্তিক কাজের বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য বেছে নিয়ে তা থেকে নতুন কাজ তৈরি করা। শরীরের ও মুভমেন্টের গতি-পরিমাপ কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে এগুলি সেই স্থানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে গতিশীলতার পরিবর্তন বা সংযোগ স্থাপন করে তা জানার চেষ্টা করে হবে। যখন কেও এই মুভমেন্ট খুব তাড়াতাড়ি বা খুব ধীরে অথবা খুব বড় বা ছোট করে করে তখনই বা কী ঘটে ?

 

১৫ মার্চ ’২৪ | ড্যান্সার্স গিল্ডের শিল্পীদের সাথে ওয়ার্কশপ

ড্যান্সার্স গিল্ড 
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা অবধি 

শরীর, শব্দ ও ভাষা ব্যবহার করে কীভাবে নারীবাদী চিন্তা ভাবনাকে ব্যক্ত করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হবে।  

স্থান

জিডি বিড়লা সভাঘর

ডাঃ কে.কে. বিড়লা ১৯৮৪ সালে ঘনশ্যাম দাস বিড়লা সভাঘর স্থাপন করেন। কলকাতার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই বিশেষ সভাঘরটি রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের নিচে  অবস্থিত। প্রাথমিকভাবে ধর্মীয় এবং দার্শনিক বক্তৃতাসভার স্থান হিসাবে নির্মিত হলেও পরবর্তীকালে কলকাতায় শিল্প ও সংস্কৃতি প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কলকাতার পুরানো সমস্ত আকর্ষণ ধরে রেখে, সভাঘর আজ বিভিন্ন ধরণের থিয়েটার, শাস্ত্রীয় এবং সমকালীন সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনার  পাশাপাশি দার্শনিক ও ধর্মীয় বক্তৃতা এবং আলোচনার আবাসস্থল হয়ে উঠেছে।

 

সংস্কৃতি সাগর

কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির প্রচার ও বিড়লা সভাঘরের মিশনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ১৯৮৫ সালে সংস্কৃতি সাগর চ্যারিটেবল সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩০০-রও বেশি সদস্য নিয়ে গঠিত এই সমিতিতে, বছরে ২০-টিরও বেশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই ইভেন্টগুলি ধর্মীয় বক্তৃতা থেকে শুরু করে সমসাময়িক নাটক পর্যন্ত এবং বিভিন্ন বয়সের লোকেদের কাছে আবেদন করার উদ্দেশ্যে। সংস্কৃতি সাগর অসংখ্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সাথে সক্রিয় সহযোগিতায় নিযুক্ত রয়েছে .

ডন নু

ডেনমার্কের আরহাসের থিয়েটার কোম্পানি ডন নু নাচ ও শরীরের যৌথ ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প সৃষ্টির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। 

২০১০ সালে দুজন কোরিওগ্রাফার জানিক এলকের ও ক্রিস্টোফার পিডারসন এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।  বর্তমানে তারা ডন নু আর্টিস্টিক পরিচালনার দায়িত্বেও আছেন। বর্তমানে এই কোম্পানি ডেনমার্কের সর্বাধিক ট্যুর করা কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমানে ট্যুর করে কাজ করার পাশাপাশি তারা নর্ডিক অঞ্চলের সকল দেশ, সাউথ কোরিয়া, কানাডা, ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চল ও কিউবাতেও ট্যুর করেছেন।  

এই কোম্পানির নামটাই একটা প্যারাডক্স। ডন এর অর্থ স্বতন্ত্র এবং নু বলতে এক প্রকার বন্য প্রাণীর দলকে বোঝায়। ব্যক্তি এবং সমষ্টিগত উভয় প্রকারেরই বৈশিষ্ট্যকে ভিত্তি করে ডন নুয়ের প্রোডাকশনগুলি তৈরি।

 

মল্লিকা সারাভাই

মল্লিকা সারাভাই ভারতের একজন প্রসিদ্ধ কোরিওগ্রাফার এবং নৃত্যশিল্পী। তিনি তাঁর একক উপাস্থাপনার পাশাপাশি নিজস্ব সংস্থা দর্পনার সাথে তৈরি বিভিন্ন শাস্ত্রীয় এবং সমসাময়িক কাজ উপস্থাপনা ও সম্পাদনা করে চলেছেন। তিনি অর্গানাইজেশনাল বিহেভিহারে পিএইচডি করেছেন এবং প্রায় 30 বছর ধরে দর্পনা একাডেমি অফ পারফর্মিং আর্টসের সহ-পরিচালক ছিলেন।

মল্লিকা যদিও একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসাবে ভারতে পরিচিত হয়েছিলেন কিন্তু শীঘ্রই ভরতনাট্যম এবং কুচিপুডির ব্যতিক্রমী তরুণ নৃত্যশিল্পী হিসাবে স্বীকৃত হন। ১৮ বছর বয়সেই, তিনি অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি পান যখন তিনি পিটার ব্রুকের ‘দ্য মহাভারত’-এ দ্রৌপদীর ভূমিকায় ৫ বছর ধরে অভিনয় করেন। এই সিরিজটি প্রথমে ফরাসি এবং তারপর ইংরেজিতে, ফ্রান্স, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং স্কটল্যান্ডে সম্প্রচারিত হয়েছিল।  

সামাজিক শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের সপক্ষে একজন সক্রিয় কর্মী, মল্লিকা সমাজের পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তার শিল্পকে ব্যবহার করা শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি প্রথম তাঁর একক নাট্যকর্ম ‘শক্তি: দ্য পাওয়ার অফ উইমেন’ তৈরি করেন। তারপর থেকে মল্লিকা অসংখ্য মঞ্চ প্রযোজনা তৈরি করেছেন যা সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরেছে এবং পরিবর্তনের কথা বলেছে। এই প্রযোজনাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিকভাবে ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছে।

৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মল্লিকা সমকালীন নৃত্যের 

ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব শব্দভাণ্ডার তৈরি করতে শুরু করেন এবং ছোট কিন্তু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের কাজ তৈরি করতে শুরু করেন যা উত্তর আমেরিকা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন এবং অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ভারতেও উপস্থাপিত হয়েছে।

অদিতি রমেশ

অদিতি রমেশ একজন ভারতীয় সংগীতজ্ঞ। তিনি তাঁর গায়নশৈলী, সুর, বিভিন্ন ধরনের সংগীতের মিশ্রণ এবং সমাজ সচেতন গানের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। রমেশ 2টি ইপি এবং বেশ কয়েকটি একক প্রকাশ করেছেন এবং ভারতবর্ষ ছাড়াও সারা বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্গীত উত্সব এবং বিভিন্ন জায়গায় পারফর্ম করেছেন। ‘শক্তি’-এর জন্য বানানো তার মিউজিক ভিডিওটি ছিল রোলিং স্টোন ইন্ডিয়ার ২০২১ সালের এক নম্বর মিউজিক ভিডিও। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্র, সিরিজ, অ্যানিমেশন এবং অন্যান্য প্রকল্পের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর রচনা করেন। আজ ভারতীয় স্বাধীন সংগীতের উদীয়মান শিল্পী হিসাবে রমেশ বিবেচিত।

সুমনা চক্রবর্তী

সুমনা চক্রবর্তী সামাজিকভাবে সচেতন শিল্পচর্চার জন্য কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত আর্ট প্ল্যাটফর্ম হামদস্তির প্রতিষ্ঠাতা। সুমনা মূলতঃ দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে সংযুক্তভাবে বিভিন্ন প্রকাশ্য স্থানগুলিতে কাজ করে চলেছেন। ব্যাঙ্গালোরের সৃষ্টি স্কুল অফ আর্ট ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতক সুমনা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ ডিজাইন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেন। দিল্লির খোজ অর্গানাইজেশানে আর্টথিঙ্ক সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল কালচারাল লিডারস প্রোগ্রামের একজন ফেলোও ছিলেন। তিনি বর্তমানে দিল্লি আর্ট গ্যালারি সংগঠনের মিউজিয়াম প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

ম্যাডেলিন সেন্ট জন

ম্যাডেলিন সেন্ট জন একজন আর্ট অনুশীলনকারী, প্রযোজক, লেখক এবং গবেষক যিনি সংস্কৃতির মানবহিতৈষী দিকগুলির প্রোগ্রাম ডিজাইন, সংস্থান উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করেন। 

একই সাথে, ম্যাডেলিন বিবিধ মানব সচেতন সেক্টরের সাথে লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসা এবং বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংবেদনশীলতা এবং নান্দনিকতা বোধের দিকে মনোনিবেশ করেছেন  নৃত্য বা মুভমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও শান্তি গঠনের জন্য এক্সপ্রেসিভ আর্টস থেরাপিরও ব্যবস্থা করেছেন।

TRI আর্ট অ্যান্ড কালচারের পরিচালক এবং এক্সপ্রেসিভ আর্টস থেরাপি ফ্যাসিলিটেটর হিসাবে ম্যাডেলিন বোধগত বুদ্ধিমত্তার বিকাশের মাধ্যমে মানবিকতা বোধের মধ্যে নিহিত সাংগঠনিক অনুশীলনগুলিকে এপিফেনোমেনলি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন যা বৃহত্তর সমাজের উন্নয়নে  আমাদের সাহায্য করতে পারে।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:

পার্বতী দত্ত, জোনাকি সরকার, ঐশিকা চক্রবর্তী, সাপনা মেহতা, স্মিতা বাজোরিয়া, ঐন্দ্রিলা দত্ত, অনুভা ফতেপুরিয়া,
স্বপন কুমার মিত্র মজুমদার, ম্যাডেলিন সেন্ট জন, মুসকান সুকারচকিয়া, বরুন থাপার